বয়:সন্ধিকালের একজন কিশোর বা কিশোরী যখন আর্থ-সামাজিক, পারিবারিক কিংবা পারিপার্শ্বিক কারণে দিকভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার মুখে পড়ে দিশেহারা বোধ করে তখন তার দরকার হয় একজন দায়িত্বশীল, মমতাময় অথচ কঠোর অভিভাবকের। বর্তমান বাস্তবতায় জামালপুরের মতো একটি গ্রামীণ জেলার পরিবারগুলোতে এর অভাব প্রকট। মুষ্টিমেয় সচেতন ও আর্থিকভাবে সক্ষম অভিভাবকের কথা বাদ দিলে অধিকাংশ অভিভাবক এখানে সন্তানের দায়িত্ব পালনে অসচেতন, কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে অসমর্থ। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ নতুনভাবে ভূমিকা পালনে বদ্ধপরিকর। রুটিন অনুযায়ী প্রতিটি ক্লাশ অনুষ্ঠান এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের বছরের শুরু থেকে ব্যবহারিক ক্লাশ নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক মানকে উন্নত করার সুদৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এজন্য তৈরি করা হয়েছে ২২টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। একজন কাউন্সিলরের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ২৫ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেসিক কম্পিউটার কোর্সের পাশাপাশি আইসিটি ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, আবৃত্তি ও বির্তক ক্লাব, সংস্কৃতি সংসদ ও ক্যারিয়ার কাউন্সিল গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া বার্ষিক সাহিত্য-সংস্কৃতি, আন্ত:বিভাগ ভলিবল, ক্রিকেট ও ফুটবল প্রতিযোগিতা নিয়মিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা, প্রযুক্তিসংলগ্ন দক্ষতা বৃদ্ধি ও বৃহত্তর প্রতিযোগিতার উপযোগী গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিচর্যার ব্যবন্থা নেওয়া হয়েছে।
আমরা চাই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকের সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রিয় শিক্ষার্থীরা এমনভাবে গড়ে উঠবে যাতে তারা সমাজের বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রতিভা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে ।
একাজে আমরা সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করি।